শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

কুষ্টিয়ায় মামলাভারে এলাকা ছাড়া বিএনপি নেতাকর্মীরা   

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি 

কুষ্টিয়ায় মামলাভারে এলাকা ছাড়া বিএনপি নেতাকর্মীরা   

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ায় বিএনপি মাঠ গোছাতে পারছে না। মামলা আর গ্রেপ্তার আতঙ্কে নেতাকর্মীরা এলাকা ছাড়া। মাঠে কোনভাবেই দাঁড়াতে পারছেন না। কেন্দ্রীয় বিএনপি অবরোধ-হরতাল কর্মসূচি দিলেও উপজেলা ও শহর পর্যায়ে নেতাকর্মীরা তা বাস্তবায়ন করতে পারছে না। 

এমনকি জাতীয় নির্বাচনে যারা বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন, তারা কেউ কেউ কারাগারে, বাকিরা পলাতক। অপর দিকে গত রোববার আ.লীগের প্রার্থী ঘোষণার পর থেকে জেলায় উৎসব শুরু হয়েছে। জানা যায়, কুষ্টিয়ার চারটি আসনের তিনটিতে আ.লীগের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। 

এছাড়া জাতীয় পার্টিসহ বেশ কয়েকটি দল দলীয় মনোনয়ন নিয়ে কাজ করছেন। আওয়ামী লীগ মাঠে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনি সবধরনের কার্যক্রম সব দল চালিয়ে গেলেও বিএনপি সেক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। বিএনপির প্রার্থীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। গুটি কয়েক নেতাকর্মী অবরোধ-হরতালে মাঠে নামার চেষ্টা করলেও তারা মাঠে দাঁড়াতেই পারছেন না। ফলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। 

বিএনপি ঝটিকা মশাল মিছিল দিলে পুলিশ তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করছে। বিএনপি প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশ করতে পারছে না। তাদের নামে রয়েছে একাধিক মামলা। আবার কোনো কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার চেষ্টা করলেও আ.লীগ নেতাকর্মীদের মাঠে তৎপর থাকায় অবরোধ ও হরতাল ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। 

পুলিশ সূত্র জানা গেছে, জেলার ৭টি থানায় মাসের ব্যবধানে নাশকতার অভিযোগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ২৩টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ৭২২ জনকে। এই সময়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৩৩ জন। এছাড়া মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি বিএনপির ৫৩২ নেতা-কর্মী। 

মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা ১ হাজার ১৯০। বিএনপি দলীয় সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, সাধারণ সম্পাদক সোহরাব উদ্দিন, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা, যুব বিষয়ক সম্পাদক মেজবাহুর রহমানসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের প্রথম সারির অধিকাংশ নেতা-কর্মী কারাগারে। 

এ বিষয়ে আত্মগোপনে থাকা জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সরকার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোন পথ বর্তমান সরকার খোলা রাখেনি। নেতা-কর্মীদের নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তারা মূলত এক দলীয় নির্বাচন কায়েম করার কৌশল অবলম্বন করছে। 

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, হরতাল ও অবরোধের নামে নাশকতা ও জানমালের ক্ষতিসাধন যারা করছেন শুধু তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
 
টিএইচ